বিশেষ প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড থেকে ১৭৪ বস্তা ওএমএস’র চাউল ও আটা আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ১৭ এপ্রিল রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় তারা মিয়া বাড়ির সামনে জৈনক রাজু সরদার চায়ের দোকানের পাশে ফায়ার সার্ভিসগামী পাকা রাস্তার মোড় থেকে পিকাপ ট্রাক লোড অবস্থায় সরকারি খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ওএমএস এর চাউল ও আটা আটক করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। থানা প্রেস রিলিজ সূত্রে যানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জরুরী ডিউটিতে থাকা এসআই (নিঃ) মো. ইউনুছ আলী বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওএমএস এর চাউল ও আটা কালো বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পিকাপ ট্রাকে বাড়ি থেকে বের হলে ১০২ বস্তা আটা ও ট্রাক জব্দ করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৩.৩০ মিনিটের সময় ওএমএস ডিলার রেজাউল করিম এর বাড়ি থেকে দু-চালা টিনের ঘর তল্লাশি করে ৫০ কেজি ওজনের ৭২ বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সুলভ মূল্য লেখা ওএমএস এর চাউল উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত ১০২ বস্তা আটা ওজন ৫১০০ কেজি যার মূল্য ১০৫০০০ টাকা, ৫০ কেজি ওজনে ৭২ বস্তা চাউল ৩৬০০ কেজি অনুমান মূল্য ১০৮০০০ টাকা, সর্বমোট উদ্ধার ১৭৪ বস্তা চাউল ও আটা সর্বমোট মূল্য ২১৩০০০ টাকা। আরো জানাযায়, ওএমএস এর অনুমদিত পণ্যের ডিলার মো. রেজাউল করিম অসাধু ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অতিরিক্ত মূল্যে বোয়ালমারী বিক্রয়ের জন্য মজুদকৃত মাল নিজ বাড়ি থেকে রাতে ট্রাকে পাঠাচ্ছিল। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রজু হয়েছে। মামলা নং- ১১ তাং ১৮/৪/২২, মামলায় পালাতক আসামীরা হলো কুসুমদি গ্রামে কলেজ রোডে তারা মিয়ার ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪০), একই গ্রামে দক্ষিন পাড়া জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ট্রাক ড্রাইভার মো. রিপন (২৭)।
আলফাডাঙ্গা থানা ওসি ওহিদুজ্জামান প্রেস রিলিজ এ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ফোর্সে অভিযান চালিয়ে ১৭৪ বস্তা ওএমএস এর চাউল ও আটা উদ্ধার করে। ১টি ট্রাক জব্দ করে ২ জনকে পালাতক আসামী করে মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাত নাম রয়েছে, আসামীদের গ্রেফতার করে ১৬১ ধারা জবান বন্দীতে আরো কোন জড়িত ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।