ছবি-ধর্ষক ইয়াদুল
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে ! প্রথমে তাকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, কর্মরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ধর্ষিতা এনবিডিসি দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুন সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ধর্ষিতার পিতা তিলক শেখের নিজ বাড়ী ফরিদপুর জেলা আলফাডাঙ্গা উপজেলা দিগনগর গ্রামে বসতবাড়ির রান্না ঘরের ভিতরে বাদাম ভাজার সময় ওরনা দিয়ে হাত মুখ বেঁধে জোর করে ধর্ষণ করে একই ইউনিয়নের চরখোলাবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মোল্লা বখাটে পুত্র ইয়াদল(৩৬)।
ধর্ষিতার মা সাবিনা বেগম বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারী চাউল আনতে যাই,আমার মেয়েকে একা বাড়িতে পেয়ে লম্পট জোরকরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার শোরচিৎকারে আশেপাশে লোকজন এসে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃআশিকুর রহমান বলেন, ধর্ষিতার অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এনবিডিসি দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুর রউফ বলেন, মেয়েটি আমাদের মাদ্রাসা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, শুনেছি তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষক কে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হোক।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহজালাল আলম বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি, দেখি কি করা যায়।
মেয়েটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।