তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলে লক্ষ জনতার স্রোত নামবে-রিবলু

তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলে লক্ষ জনতার স্রোত নামবে-রিবলু

ঢাকা অফিস :

তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলে লক্ষ জনতার স্রোত নামবে।
একযুগ পর বাংলাদেশের মাটিতে নেমে ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম রিবলু এ কথা বলেন

দীর্ঘ একযুগ পর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নির্বাহী সদস্য, কারা নির্যাতিত এবং পুলিশের গুলিতে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত নেতা ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম রিবলু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে স্বাগত জানান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর এম এ কাইয়ুম। তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম ছাত্র সমাজের অহংকার ছিলেন। তিনি যখন দেশে ছিলেন তখন প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর দেশে আসায় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা। তিনি বলেন, সফিক একজন নির্যাতিত ও নিপীড়িত তুখর ছাত্রনেতা ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে স্বদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সুস্থ বাবাকে বাড়ীতে রেখে গিয়েছিলেন, তার অবর্তমানে তার বাবা কয়েকবার স্টোক করায় বর্তমানে প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা শুধুমাত্র ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে প্রবাসে জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার সফিক তাদের মধ্যে অন্যতম। তার এই আগমন নতুন বাংলাদেশে তরুণদের আশা জাগাবে। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মোঃ মোমিনুর রহমান, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহফুজ উর রহমান লিপকন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ মোর্তুজা শাওন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,
ইফতে খাইরুল ইসলাম, শেখ শাহানাজ পারভীন, নোবেল ইসলাম সূর্য, মোঃ মিজানুর রহমান, খন্দকার রেহান রাছিক, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, ইমতিয়াজ এনাম তামিম, রবিউল ইসলাম রুবেল, শফিকুল ইসলাম মিরাজ, নজরুল ইসলাম মামুন সহ প্রমুখ।
ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম রিবলু বলেন, একযুগ পর বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে প্রথমেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেছি। হাজার হাজার দলীয় ভাই বোনেরা যেভাবে আমাকে এয়ারপোর্টে গ্রহণ করেছেন আমি সত্যিই মুগ্ধ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং আল্লাহর কাছে সুস্থতা কামনা করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। আমি যখন পুলিশের গুলিয়ে আমার চোখ অন্ধত্ব হয়ে যায় তখন শেষ মুহুর্তে লন্ডনে এসে পৌছাই। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে যে সাপোর্ট করেছেন আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত। আমি জানি আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীর উপস্থিতিতে যদি হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয় তাহলে দেশনায়ক তারেক রহমান যখন পবিত্র বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন তখন কোটি জনতার স্রোত সৃষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার সুস্থ বাবাকে রেখে আজ তাকে দেখে চিনতে পারছি না। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চান যেন ভবিষ্যতে মানবতার সেবা করতে পারেন।
ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম রিবলুর রানৈতিক পরিচয়- সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। (টুকু – মুন্না), সাবেক পদবী সমুহ- সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী, ছাত্রদল, কেন্দ্রীয়, সংসদ। (রাজিব আহসান-আকরামুল হাসান)। সাবেক ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বিএনপি (সায়েস্থা চৌধুরী-কয়সর আহমেদ)। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদ। (জুয়েল- হাবিব)। সিনিয়র সহ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুক্তরাজ্য শাখা। সহ সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন। (মজনু-হাবীব)। সহ সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সুত্রাপুর থানা (অবিভক্ত), ঢাকা মহানগর দক্ষিন। (মজনু- হাবীব)। সহ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সুত্রাপুর থানা (অবিভক্ত), ঢাকা মহানগর দক্ষিন। (সাগির- মজনু)। ক্রীড়া বিষয়ক সহ সম্পাদক, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন। সাবেক সিনিয়র সদস্য, (সাবেক ৭৮নং ওয়ার্ড বর্তমান ৪২নং ওয়ার্ড) অবিভক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রদল। রাজনৈতিক মামলা সংখ্যা- বর্তমান ৩টি (শাহবাগ থানা গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ সহ ২০১৩ সাল)।
রাজনৈতিক নির্যাতন সমুহঃ ১/১১ এর সময় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত, ২০০৯ সালে ৮দিন কারাবাস, ১১ মার্চ ২০১৩ পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের সাথে পিকেটিং চলাকালীন সময়ে পুলিশের গুলিতে বাম চোখ গুলিবিদ্ধ এবং চিরতরে বাম চোখে অন্ধত্ব বরন। অসংখ্যবার রাজপথে হামলার শিকার।