কমবে খরচ বাঁচবে সময়! আলফাডাঙ্গায় সমলয় যান্ত্রিক পদ্ধিতে ধান চাষ

কমবে খরচ বাঁচবে সময়!  আলফাডাঙ্গায় সমলয় যান্ত্রিক পদ্ধিতে ধান চাষ

রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি:

সমলয় যান্ত্রিকীকরন পদ্ধতিতে ধান চাষ।এই পদ্ধিতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে একই সময়ে একই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়ে থাকে।

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের পক্রিয়া শুরু করেছেন, স্থানীয় কৃষকেরা। উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও রাকিবুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে এগিয়ে চলেছে সমলয় যান্ত্রিকীরন ধান চাষের এ প্রকল্প।

 

চলতি বোরো মৌসুমে  ৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে সমালয়ে ধানের চাষাবাদ হচ্ছে।

 

বীজতলা তৈরী শেষে ধানের চারা রোপনের কাজ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হবে। এতে যেমন কম লাগবে সময়, সেই সাথে বাঁচবে খরচও।

 

জানা যায়, উপজেলার চান্দড়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করে প্রাথমিক ভাবে বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। ১৫ একর জমিতে ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরী সম্পন্ন হয়েছে। সমালয় যান্ত্রিকীকরন এ প্রকল্পে সুবিধাভোগী কৃষক রয়েছে ৫০ জন। জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সমালয় যান্ত্রিকীকরন  পদ্ধতির মাধ্যমে।এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক।

 

আলফাডাঙ্গা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, কৃষি যন্ত্রের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিতে উপজেলার ৫০ একর জমি সমালয়ে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এই প্রথম সমালয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ শুরু হচ্ছে।

 

সনাতন পদ্ধতিতে ফসল রোপনে সময়ের ভিন্নতা থাকায় যন্ত্রের ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হয়। তবে, সমালয়ে চাষাবাদের ফলে একই সময়ে একইসঙ্গে বিস্তীর্ণ জমিজুড়ে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন ও দ্রুত কর্তন করা সম্ভব।

 

আলফাডাঙ্গা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, আগে সনাতন পদ্ধতিতে মাটিতে ধানের চারা বপন করতে গিয়ে মাটি ভেঙে এবং বীজতলা নষ্ট হয়ে যেত। ফলনও তেমন ভালো হতো না। সমালয়ে বীজতলা লাগানোর ফলে ধানের চারা নষ্ট হয় না। বপন করতে সুবিধা হয়। পোকামাকড়ও দমন করা যায়। এখন কানি প্রতি জমির ফসল রোপন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত তাদের উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। সেই সাথে কৃষক আধুনিক যান্ত্রিক কৃষিতে অভ্যস্থ হবে।

 

উপজেলা  উপ সহকারী কৃষি  কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহার নির্দেশনা অনুযায়ী চান্দড়া গ্রামের সমলয় যান্ত্রিকীকরন কৃষি প্রকল্পে আমি ও মেহেদী হাসান নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি নিজেরা ফিল্ডে থেকে নিজ হাতে বীজতলা তৈরীতে কাজ করছি।

 

সমলয় কৃষি যান্ত্রিকরন ধান চাষাবাদের  আওতায় আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ানের চান্দড়া গ্রামে সমলয় বোরো ধান এর বীজতলা তৈরি করা হয়। ৫০ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ এর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে ১৫ একর জমির বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।