স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আলোচিত সেই যুবদল নেতার বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে সুপারিশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সরকারি জমি জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরুল হাসানকে আইনের আওতায় আনতে ১৪ নভেম্বর স্থানীয় থানা পুলিশে এ আবেদন করেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিঠুন হোসেন। আবেদন পত্রে তিনি উল্লেখ করেন,বিবাদী ইমরুল মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফলিয়া গ্রামের মোঃ বক্কার মোল্লার ছেলে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধিন স্থানীয় বেড়িবাঁধের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাধিক বার তাকে মৌখিক ভাবে নিষেধ করার পরও তিনি তা উপেক্ষা করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখায় ইমরুল মোল্লার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান প্রকৌশলী। তবে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেও নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। উল্লেখ্য,পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বেদখল হওয়ার খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলার একাধিক গণমাধ্যম কর্মী ঘটনা স্থল পরিদর্শনে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে আলোচনায় উঠে আসেন ইমরুল হাসান। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। খবর গড়ায় ফরিদপুর জেলা যুবদল নেতৃবৃন্দের কান পর্যন্ত। তারা অবৈধ দখলবাজির কারণে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ইমরুলের বিরুদ্ধে। জানাযায়,আলফাডাঙ্গা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব নিযুক্ত করা হয়েছিল ইমরুল হাসান। কিন্তু অভিযোগ ওঠার পর ঐ পদায়ন স্থগিত করা হয়। মজার ব্যাপার-ইমরুল হাসান যেদিন পদায়নের চিঠি হাতে পান সেদিনই পাল্টা আরেক চিঠিতে তা স্থগিত করা হয় বলে জানাযায়। এক প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিঠুন হোসেন বলেন,সংবাদ পেয়ে আমিও ঘটনা স্থলে যাই। জমি বরাদ্দ নেওয়ার কোন কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় ইমরুলকে মৌখিক ভাবে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বলি। কিন্তু তিনি কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত তারা কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। অবশ্য নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন,দরখাস্ত পেয়েছি। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।