বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়রসহ ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নুরুজ্জামান খসরু বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ফরিদপুর দ্রুত বিচার আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য আলফাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, সহ সভাপতি, ইকবাল হাসান চুন্নু, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলাম, গোপালপুর ইউনিয়ন আঃ লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকুসহ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মী। এছাড়া আরও ১০০০-১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বাদী মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, আসামীরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লাঠিয়াল ও হেলমেট বাহিনী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষের সম্পদ লুটপাট ও ত্রাসসৃষ্টি করে জীবিকানির্বাহ করতো। শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন এমন খবরে গত ১৩ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করেন। এছাড়া আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মামলা করার জন্য থানায় যান বাদী। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ হাসান আলী জানান, বাদী পক্ষের অভিযোগটি শুনানি শেষে, অভিযোগটি আমলে নেন বিজ্ঞ আদালত। পরে মামলার তদন্তের জন্য আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান দাবী করেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। তাই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, এবিষয়ে থানায় এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।