শেখ সাদমান সাকিব, বিশেষ প্রতিবেদক:
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলার প্রধান আসামি হলেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কামাল আহমেদ।
বোয়ালমারী থানায় ২১জানুয়ারী ২১ নম্বর মামলার হুকুমধারী ও রামদা দিয়ে কোপ দেয়ার আসামি হলেন কামাল আহমেদ। চেয়ারম্যান এক ভিডিও বার্তায় বলেন এটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষর সাজানো মিথ্যা মামলা।
মামলা এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন শেখর গ্রামের ইসরাইল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তার পুত্র সহাস্রাইল বাজার ব্যবসায়ী শামীম মোল্লা কে হত্যার হুকুম দেওয়ার প্রধান আসামি করা হয় কামলকে।
এ মামলায় কামাল আহমেদ এর আপন ছোট ভাই মিলন কে ২ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া এজাহারে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় চেয়ারম্যান কামালের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা না থাকলেও প্রকৃত দোষীদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে প্রধান ও কোপের আসামী করে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কামাল আহমেদ । এ ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ২০ জানুয়ারী সোমবার সন্ধায় সহাস্রইল বাজারে বাদীর পুত্র শামীম মোল্লার সাথে শেখর ইউনিয়ন জামায়াতে আমীর(ভারপ্রাপ্ত) মতিয়ার রহমান এর ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে তর্কবিতর্ক কে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে শামীম সহ কয়েক জন আহত হয়।
মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন,
এ ঘটনার কিছুই আমি অবগত না হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে আমাকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। আমি গ্রাম পুলিশের কাছে খবর পেয়ে ওসিকে অবিহিত করি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমি বাড়ি থেকে সহস্রাইল বাজারে যাই এবং জানতে পারি শামীম মোল্যার সাথে মতিউর রহমান বিশ্বাসের গোলমাল হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এ ঘটনার প্রকৃত দোষীদের বাদ দিয়ে আমার ও আমার ভায়ের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করা হয়েছে।ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম তার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাই।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদী সাথে বার বার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।