১২ বছর হওয়ার পরেও আজও গুম হওয়া সুমনসহ অন্যরা ফিরে এলো না …… মঞ্জুর হোসেন ঈসা

১২ বছর হওয়ার পরেও আজও গুম হওয়া সুমনসহ অন্যরা ফিরে এলো না …… মঞ্জুর হোসেন ঈসা

ঢাকা অফিস :

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সাবেক বৃহত্তর তেজগাঁও থানার ৩৮নং ওয়ার্ড বর্তমান ২৫নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমন, মেধাবী ছাত্র জাহিদুল করিম তানভীর, মেধাবী ছাত্র আব্দুল কাদের ভূইয়া মাসুম, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা, আল আমিন, এস এম আদনান চৌধুরী ও গাড়ী চালক কাউসার কে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে গুম করে। দেখতে দেখতে এক যুগ পার হয়ে যাওয়ার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও কেউ ফিরে আসেনি যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও জাতির জন্য লজ্জার। ৩৬ শে জুলাই শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধসহ সহশ্র রক্তের উপর দাঁড়িয়েছে যে বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে গুম হওয়া কারো কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এটি আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম ফ্যাসিবাদের প্রতিটি দোসরকে শাস্তির আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা হবে। অথচ তারাই এখনও রাম রাজত্ব করছে এবং তাদেরকে উস্কে দিচ্ছে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ভারত সরকার, উগ্রবাদী এক শ্রেণীর হিন্দু জনগোষ্ঠী। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দিনের বেলায় চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলমা আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদেরই মদদদাতা আগরতলা বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা করে এবং জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদের স্থান হবে না। যারা পিলখানায় বিডিআর হত্যা করে বিডিআর এর নামই বদলে দিয়েছে সেইসব কুশলবদের নামের তালিকা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রকাশ করতে হবে এবং সেই সাথে বিডিআর এর পূর্বের নামে ফিরে যেতে হবে। মতিঝিলে হেফাজতে আলেম ওলামা ও হাফেজদেরকে যারা পাখির মত গুলি করে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করেছে তাদেরও নামের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং সেদিন যারা শহীদ হয়েছিল তাদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে।
৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর খুনী শামীম এখনও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। মাসুম মিয়ার হত্যার এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন খুনীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি শামীম আহমেদ ফয়েজকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় জনতা ফোরামের সভাপতি মোঃ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেল্লাল হোসেন রাজুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আগামী ৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সফল রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোঃ রাসেল মাহমুদ ও নোবেল মাহমুদ এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ১০ই ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং বিকেলে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।