মঙ্গলবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা সদর বাজার থেকে মাঝ বয়সী এক যাত্রী ১৩ বছর বয়সী মুরসালিন মিয়া ভ্যানের যাত্রী হয়ে উঠেন। গন্তব্য কাশিয়ানী উপজেলার বাথানডাঙ্গা। সরল বিশ্বাসে মুরসালিন সে যাত্রীকে নিয়ে কাশিয়ানীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়। ভরদুপুরে কাশিয়ানী বাথানডাঙ্গায় এলাকার একটি নির্জন রাস্তায় নিয়ে যায়। সড়কের পাশে বাঁশ ঝাড়ের কাছে পৌঁছালে মুরসালিনকে ভ্যান ঘুরাতে বলা হয়। মুরসালিন ভ্যান ঘুরাতেই পিছন থেকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। মাথার পিছনের অংশে লেগে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। ছিনতাইকারী হাতুড়ি উচু করে আবারও আঘাত করে আহতাবস্থায় মুরসালিন ছিনতাইকারীকে প্রতিহত করে। ভ্যান চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে ভ্যান চালিয়ে এসে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজেই ভর্তি হয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
মুরসালিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের চৌরাস্তায় যাত্রীর আশায় ভ্যান নিয়ে বসে ছিলাম। তখন মাঝ বয়সী এক লোক এসে বলল কাশিয়ানীর বাথানডাঙ্গা যাবে। ভাড়া ব্যাপারে বলল কোনো সমস্যা নেই নিদিষ্ট ভাড়া থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। জরুরী কাজে যেতে হবে। সরল বিশ্বাসে মুরসালিন কাশিয়ানীর বাথানডাঙ্গা যায়,নির্জনস্থানে নিয়ে ভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তাকে হাতুড়ি পিটা করে গুরুতর আহত করে। ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচার জন্য আহতাবস্থায় ভ্যান চালিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
তিনি আরও জানান, তিন বছর আগে ৭ ম শ্রেণিতে পড়া শেষ করতে হয় অভাবের তাড়নায়। বাবা মটু মিয়ার বুকে মধ্যে টিউমার আছে ভারি কেনো কাজ করতে পারে না। তাই আমার ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। পড়ালেখা করার ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হচ্ছে না। বড় বোনের বুধবার বিবাহ হওয়ার কথা ছিল ঢাকাতে। বাবা-মা যেতে চেয়েছিল। আমার এ ঘটনার পর তারাও বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে যেতে পারছে না।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।