বিশেষ প্রতিনিধি :
সম্পত্তির লোভে দুই ভাই পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে আপন বোন তৃনা খানম(৩২)কে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৮ নভেম্বর দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ (ত্রিপল নাইন) এ ফোন দেওয়ার পর পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন তার অবস্থা আশংকা জনক।
সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়, যুদ্ধ কালীন নৌ-কমান্ড মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন কবীর জীবিত থাকা অবস্থায় অবাধ্য দুই ছেলে কোন খোজ খবর না নেওয়ায় তার ও তার স্ত্রীর চিকিৎসা ও ভরনপোষণ করবার জন্য হেস্ষা অনুযায়ী তার সম্পত্তি ও বসত ঘর মেয়ে কে দান দলিল করে দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন কবীর মারা গেলে তৃনা তার মাকে নিয়ে বাবার রেখে যাও বীর নিবাস ও বসত বাড়ি টিনের ঘরে বসবাস করেন।
তৃনা সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে বাবা জমি লিখে দেওয়াই কাল হয়ে দারিয়েছে,আমার দুই ভাইয়ের একজন শিক্ষক নামে প্রতারক শেখ মির্জা,আরেকজন শেখ এনামুল গাড়ি চালক বনানী থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি,ছিনতাই ও মাদক মামলার আসামি।তারা আমাদের পূর্বের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে বারার রেখে যাওয়া বসত ঘর ও জমি জোর জুলুম করে দখল ও মালামাল লুট করিয়ে দেন। সর্বশেষ বীর নিবাসে আমি মা কে নিয়ে বসবাস করছি, এমতাবস্থায় ওরা মির্জা ও এনামুল ঘটনার দিন রাতে বাড়ি তে এসে আমাকে ঘরের ভিতরে আটকিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র রামদা ও লোহার রড দিয়ে বেধম মারপিট করে।আমার চিৎকারে আসে পাশের লোকজন ঘরের দরজা খুলতে বললে, আমাকে বাতরুমে আটকিয়ে রাখেন এবং তাদের পারিবারিক বিষয় বলে তাড়িয়ে দেন। মা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করেন। আমি বাচার জন্য ৯৯৯ ফোন করে আকুতি বিনতি করলে পুলিশ উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি কান্না কন্ঠে আরও বলেন,আমাকে ঘরে আটকিয়ে মারলে বলি ভাই তোরা জমি ও বীর নিবাস নিয়ে যা, আমাকে আর মারিস না, মির্জা বলে তোকে তো মেরই ফেলবো আর তোর কাজে যে সহযোগিতা করবে তাকে মেরে মধুমতি নদীতে ভাসিয়ে দিব। আমি ক্ষমা চাইলেও আমাকে ও মা কে মারধর করে। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে প্রশাসনের সহোযোগিতা কমনা করি এবং আইনি সহযোগিতা চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, তৃনার বাবা কেও তার ভাইরা মারধর করেছে আগে,এখন তৃনা কে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়েছে, বাড়ি ছাড়েনা বিধায় আর এ অবস্থা করেছে। আমরা ঠেকাতে গেলে ওরা আমাদের ও হুমকি দেয়।ওরা খারাপ লোক,দর্ষুদের সাথে ওদের সম্পর্ক। এটা আবার আপনি পত্রিকায় লিখেন না।
এ বিষয়ে মির্জা বলেন,এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়।
জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলার তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।