বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্তে সত্যতা মেলেনি–সহকারী কমিশনার মো. সাজিদ উল মাহুমুদ

বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্তে সত্যতা মেলেনি–সহকারী কমিশনার মো. সাজিদ উল মাহুমুদ
Oplus_131072

বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পায়নি জেলা প্রশাসনের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সোমবার (১৫ জুলাই) উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখার সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজিদ উল মাহুমুদ। ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে তদন্তকালে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চৌকিদার, স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

এর আগে গত ১২ জুন স্থানীয় কয়েকজন শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে অসহায় হতদরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডধারীদের চাল, টিসিবি কার্ড, সার, বীজ, হাটবাজারের ইজারার টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান এর প্রতিপক্ষ।

এরপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখার সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজিদ উল মাহুমুদ ঘটনাস্থল শেখর গিয়ে তদন্ত আসেন।

তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি বলে জানান তদন্ত কারী কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

Oplus_131072

আর আমার নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে নানা মির্থ্যাচার ছড়িয়ে সম্মানহানি করছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নানা মহলের লোকজনকে সামনে করে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলতে চাই সরকারিভাবে প্রাপ্ত জনগণের একটি টাকাও আমি আত্মসাৎ করি না।

 

জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখার সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজিদ উল মাহুমুদ বলেন, শেখর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্তকালে স্থানীয় নাগরিক ও উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি।

পাশাপাশি সবার সামনে উন্মুক্ত মতামত শুনেছি। তবে মতামতে চাল আত্মসাতের সত্যতা পাইনি। তবে টিসিবির পন্য ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অফিস না করার বিষয়টি অধিকতর তদন্তের পরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।